এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ উধাও হওয়া সোনালী ব্যাংকের গাইবান্ধার পলাশবাড়ি শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পরিবার নিখোঁজ হিসেবে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করলেও পুলিশের দাবি, তিনি নিজের ইচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন। হবু বউ পছন্দ না হওয়ায় এই ব্যাংক কর্মকর্তা নিজের ইচ্ছায় রাজধানীর আদাবরে আত্মগোপনে যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। এর আগে বুধবার রাতে আদাবর থেকে আবু সুফিয়ানকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এসপি তৌহিদুল জানান, পলাশবাড়ির রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আবু সুফিয়ানের বিয়ে ঠিক করে পরিবার। ২৪ জুন ছিল বিয়ের তারিখ। তবে হবু বউ পছন্দ না হওয়ায় আবু সুফিয়ান আত্মগোপনে যান। আদাবর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আবু সুফিয়ানের পরিবার ২৫ জুন পলাশবাড়ি থানায় নিখোঁজ হিসেবে একটি জিডি করে। এরপর পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার সন্ধান পায়।
প্রেস ব্রিফিং শেষে আবু সুফিয়ানকে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে আবু সুফিয়ানের ভাই শাহিন মিয়া জানান, ২৩ জুন বিকেল ৫টার দিকে বিয়ের কেনাকাটা করতে গোবিন্দগঞ্জ শহরে যায় তার ভাই। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, ‘পারিবারিকভাবে গত ৪ জুলাই বিয়ের নিশানা (এনগেজমেন্ট) সম্পন্ন হয়। কনে দেখে তার সম্মতি নিয়েই বিয়ের দিন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সে হঠাৎ এটা করবে কেউ বুঝতে পারিনি।’
বিয়ের আগের রাতে আপনার ভাই আত্মগোপনে গেলেন কেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, গোবিন্দগঞ্জে যাওয়ার পর মেয়েটা ফোনে সুফিয়ানকে কিছু একটা বলেছে। এতে ওর মন ভেঙে গেছে। এ কারণে সে সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে না বলে চলে গেছে।
‘বাড়ি ফিরে আবু সুফিয়ান বলেছে, সে এটা ভুল করেছে। বুঝতে পারেনি। তবে বিয়েটা সে আর করবে না।’
এলাকাবাসী জানায়, ১১ মাস আগে সোনালী ব্যাংকে সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন সুফিয়ান। এরপর থেকেই তার বিয়ের জন্য মেয়ে দেখা হচ্ছিল।
এ বিষয়ে কথা বলতে সুফিয়ানের ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। মেয়ের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।